স্বাস্থ্য সচেতনতা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

স্বাস্থ্য সচেতনতা (Awareness about Health)

স্বাস্থ্য (Health) : 

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীগণ শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারে না। ফলে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে এবং কাজে অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। অসুস্থ্যতা কখনও বা দুর্ঘটনা ঘটার কারনও বটে। ফলে মালিক ও কর্মী উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সুতরাং কর্মী, প্রশাসন এবং মালিকপক্ষের সকলকেই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যবিধি (Hygiene ): 

স্বাস্থ্যবিধি হলো এমন একটি বিজ্ঞান যাতে অসুস্থ্যতার পূর্বে তার প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আলোকপাত করে। একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবনই হলো ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেমন আমাদের নিরাপদ রাখে তেমনিভাবে আমাদেরকে অসুস্থ হওয়া থেকে নিরাপদ রাখে।

পেশাগত রোগসমূহ (Occupational Diseases): 

কর্মক্ষেত্রের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং কাজের ধরনের উপর একজন কর্মরত কর্মী যে সকল রোগ- ব্যধিতে আক্রান্ত হয় বা হয়ে থাকে তাদেরকে পেশাগত রোগ বলা হয় ৷

পেশাগত রোগের কারণসমূহ (Cause of Occupational Diseases) : 

কর্মক্ষেত্রে একজন কর্মরত কর্মী সাধারনত তিনটি কারণে অসুস্থতায় ভুগতে পারে-

ক) কর্মস্থলের পরিবেশ সংক্রান্ত : 

উচ্চ শব্দ, বিশৃঙ্খলা, উচ্চ তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাব, পর্যাপ্ত আলোর অভাব এবং ধূলা বালির কারণে একজন কর্মী নানা রকম রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, শ্রবণশক্তি ৰুমে যাওয়া, ফুসফস সংক্রান্ত রোগ, হাপানি, যক্ষা, শ্বাসনালীর প্রদাহ ইত্যাদি। 

(খ) কর্মী সংক্রান্ত : 

প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব, দক্ষতার অভাব, বয়স ও দৈহিক সামর্থ্যের অভাবেও নানা রকম অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। যেমন- হাত, পা, কোমড় ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি।

(গ) মানসিক অসুস্থতা : 

চাকুরির অনিশ্চয়তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, দীর্ঘ কর্মঘন্টা, কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সহকর্মীদের আচার-আচরণ, বৈষম্য, অকারণে হয়রানি, নির্যাতন একজন কর্মীর উপর বিরুপ প্রভাব বিস্তার করে যা তার কর্মক্ষেত্রের উৎসাহ ও উদ্দীপনা কমিয়ে দেয় এবং কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে ধীরে ধীরে একসময় সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

 

পেশাগত নিরাপত্তা (Occupational Safety) 

যে কোনো প্রকার প্রতিকুল অবস্থাকে প্রতিরোধের মাধ্যমে নিরাপদে কাজ করাকে অকুপেশনাল সেফটি বা পেশাগত নিরাপত্তা বলে ।

পেশাগত নিরাপত্তা তিন প্রকার- 

(১) ব্যক্তিগত নিরাপত্তা; 

(২) যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা ; 

(৩) কারখানা নিরাপত্তা।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা 

দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে সকল সবধানতা মেনে চলা হয়, তাই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা। শিল্প-কারখানার কর্মীগণ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (Personal Protective Eqiepment PPE ) 

কর্মস্থলে কার্যাবস্থায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি হতে কর্মীদের বাঁচানোর জন্য যে সমস্ত সাজসরঞ্জাম ও পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করা হয়, সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) বলা হয়। একজন ব্যক্তির কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্ভাব্য ক্ষতি বা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা হবে তার ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায় -

চোখের সুরক্ষা সরঞ্জাম

বিপদের উৎস- 

ছিটকে আসা রাসাধনিক পদার্থ বা ধাতব বস্তু, ধুলাবালি, কাটলিষ্ট পাউডার, প্রোজেক্টাইল, গ্যাস, বাষ্প এবং রেডিয়েশন।

চোখের জন্য পিপি‍ই - 

নিরাপদ চশমা, পপলস, ফেস শিশু (মুখের ঢাকনা), ওয়েল্ডিং ঢাকনা ইত্যাদি।

কানের সুরক্ষা উপাদান- 

বিপদের উৎস- শব্দের মাত্রা ৮৫ ডিবি এর অধিক হলে শব্দ দূষন হয় । 

পিপিই- এয়ারপ্লাগ, ইয়ার মাফ, কানটুপি ইত্যাদি।

মাথার সুরক্ষা উপাদান- 

বিপদের উৎস- উপর থেকে কোনো বস্তু পড়লে, শক্ত বস্তুর আঘাত, ঘূর্ণায়মান বস্তুতে চুল পেঁচিয়ে যাওয়া মাথার জন্য পিপিই - হেলমেট, মোটা বা স্ফীত টুপি ।

শাসযন্ত্র-এর সুরক্ষা উপাদান- 

বিপদের উৎস- ধুলাবালি, তাপ, আক্সিজেন এ ঘাটতি ইত্যাদি। লিপিই-ফেস মাস্ক, শাসযন্ত্র ইত্যদি।

শরীর- এর জন্য সুরক্ষা উপাদান- 

বিপদের উৎস- অতিরিক্ত তাপমাত্রা, খারাপ আবহাওয়া, ছিটকে আসা কোনো রাসায়নিক পদার্থ বা ধাতব খণ্ড, ভয়ানক গতির বায়ু প্রবাহ, সুচালো কোনো বস্তু শরীরে ঢুকে পড়া এবং ধুলাবালি দ্বারা দূষণ । শরীর-এর জন্য পিপিই- বয়লার স্যুট, রাসায়নিক স্যুট, ডেন্ট, অ্যাপ্রন, পুরো শরীর ঢাকা স্যুট, জ্যাকেট ইত্যাদি।

হাত এবং বাহু -এর জন্য সুরক্ষা সরঞ্জাম- 

বিপদের উৎস অধিক তাপমাত্রা, সুঁচালো কোনো বস্তু, ভারী কোনো - পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক, রাসায়নিক পদার্থ, চর্ম সংক্রামক বস্তু ইত্যাদি। পিপিই- হ্যান্ড প্রোভস, আর্মলেট এবং মিটস্ (বাহর আবরণ বিশেষ) ইত্যাদি ।

পায়ের পাতার সুরক্ষা - 

বিপদের উৎস- পিচ্ছিল মেরে, ভিজা মেঝে, ধারালো বস্তু, পড়ে থাকা বস্তু, রাসায়নিক স্পস এবং অন্যান্য তরল পদার্থ ইত্যাদি।

পিপিই- সেফটি স্যু, সুরক্ষা বুট, লেপিনস্ (মোটা কাপড়ের তৈরি পায়ের আচ্ছাদন), স্প্যাট (পাতলা আচ্ছাদন) ইত্যাদি । সেফইটি সুজ বা নিরাপদ জুতা ওয়েস্তারক/কর্মীকে ভারী ধাতব উত্তপ্ত গলিত ধাতু, ধারালো বস্তু উপর থেকে পড়ে আঘাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি বৈদ্যুতিক শক থেকেও ওয়েল্ডারক/কর্মীকে রক্ষা করে।

 

পিপিই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা

স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ধারা ১৯৯৫, অনুসারে সন্ধান ক্ষতির বা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার জন্য পিপিই ব্যবহার করতে হবে । দূষণ কমানোর জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদান ব্যবহার করা ঠিক নয় । কারণ কোনো সতর্ক বার্তা ছাড়াই এগুলো মাঝে মধ্যে শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। ঝুঁকির উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদানে গিপিছ এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে-

১. কখনও কাজের বাধী বা বিপত্তি ঘটায়

২. স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার অন্যান্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে

৩. ব্যবহারে আরামদায়ক নাও হতে পারে

৪. দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যয়বহুল হয়।

 

পিপিই নির্বাচন 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদানগুলো (পিপিই) এমন ভাবে নির্বাচন করা হয় যা প্রতিটি স্বরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পিপিই যেমনটি হওয়া উচিত -

১. ব্যবহারকারীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে

২. কাজের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত হতে হবে এবং বিপদে ঝুঁকির উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে।

৩. স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বিষয়ে অতিরিক্ত ৰুকি সৃষ্টি করে না

৪. ব্যবহৃত অন্যান্য পিপিই এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সহজে ব্যবহার যোগ্য

৫. আরামদায়ক

৬. ব্যবহারকারীকে যে কোনো ধরনের মেডিকেল শর্তের বাঁধা বা বিপত্তি ঘটাবে না

৭. বাংলাদেশের আর্দশমান অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক হবে ।

পিপিই নির্বাচনের সময় কর্মীদের সাথে আলাপ করে নিতে হবে। ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং স্টাইলকে বিবেচনা করতে হবে ।

 

পিপিই এর সঠিক ব্যবহার 

পিপিই ব্যবহারের পূর্বে নিম্মলিখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে হবে-

১. স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত জীবানুমুক্ত করা।

২. পিপিই সঠিকভাবে ফিট হতে হবে।

৩. কীভাবে এটি ব্যবহৃত হয় তার নিদের্শনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

৪. উৎপাদনকারীর নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপাদানগুলো (পিপিই)।

৫. যেখানে পিপিই পরিধান করতে হবে সেখানে অবশ্যই একটি চিহ্ন দিয়ে রাখা। যাতে করে কর্মীরা খুব সহজেই মনে করে ব্যবহার করতে পারে ।

 

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পিপিই এর সঠিক ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জানা উচিত । যাদের বা যখন এটি জানতে হবে

১. যখন নতুন পিপিই পাওয়া যায়

২. যখন নতুন শ্রমিক কাজ শুরু করে

৩. মাঝে মাঝে কর্মীদের স্মরণ করে দিন।

ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় যে কোন দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অবশ্যই নিরাপদ পোশাক ও নিরাপদ সরঞ্জামাদি পরিধান করা দরকার। যেমন-

  • অ্যাপ্রন পরিধান না করলে অসতর্কতাবশত ঢিলেঢালা পোশাক কোথাও জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
  • গ্রাইন্ডিং মেশিন এবং চিপিং করতে নিরাপদ চশমা পরিধান করলে ছিটকে যাওয়া চিপস এর আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করা যায়।
  • লম্বা চুল বেধেঁ হেলমেট না পড়লে ঘূর্ণয়মান কোন যন্ত্রাংশে জড়িয়ে মারাত্নক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

২। যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা :

যন্ত্রপাতির কোন প্রকার ক্ষতি সাধনা না করে কার্য সম্পন্ন করে যন্ত্রপাতিগুলিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখাকে যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা বলে। যেমন- 

(ক) সঠিক নিয়ম-নীতি মেনে মেশিন চালু করা; 

(খ) কাজ শেষে মেশিন সঠিকভাবে বন্ধ করা; 

(গ) কাজের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা; 

(ঘ) গোলযোগ দেখা দিলে সাথে সাথে মেশিন বন্ধ করা এবং দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা। 

(ঙ) বৈদ্যুতিক সংযোগসমূহ মাঝে মাঝে পরীক্ষা করা।

 

৩। কারখানার নিরাপত্তা (Factory Safety) : 

একটি কারখানা বা ওয়ার্কশপ সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে নিরাপদে চলার জন্য যে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকে কারখানা নিরাপত্তা বলে। কারখানার নিরাপত্তার জন্য দুটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। 

ক) সংরক্ষণ ব্যবস্থা 

খ) অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা

ক) সংরক্ষণ ব্যবস্থা : সংরক্ষণ ব্যবস্থা বলতে মিল কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, কাঁচা মাল হতে আরম্ভ করে উৎপাদিত দ্রব্য বা তৈরী জব ও পরিত্যক্ত অংশ প্রভৃতিকে সযত্নে সুনির্দিষ্ট জায়গায় যথাযথভাবে রাখাকে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বুঝায় 

খ) অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা :অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা হিসাবে কারখানায় হাতের নাগালে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রাখতে হবে।

দুর্ঘটনার পরিণতি

  • দূর্ঘটনার ফলে যে আহত হয় সে ব্যথা অনুভব করে তার অসুবিধা হয়। 
  • তার আর্থিক আয় কমে যায় । 
  • মারাত্বক দূর্ঘটনার ফলে কোন অঙ্গ চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 
  • দূর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির পরিবারে অন্য সদস্যদের আর্থিক কষ্ট ভোগ করতে হয়। দূ
  • র্ঘটনার ফলে কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয় 
  • কারখানায় মালিকেরও আর্থিক ক্ষতি হয়।

দুর্ঘটনার প্রতিকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি 

১. বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার পরিহার 

২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার 

৩. ব্যবহৃত যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা 

৪. পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ 

৫. ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা 

৬. সুশৃঙ্খল কর্মস্থল ও পরিবেশ নিশ্চিত করা

 

সকল প্রকার দুর্ঘটনার হাত হতে ওয়ার্কশপকে রক্ষার জন্য করণীয়- 

(ক) দাহ্য পদার্থের পাশে ওয়েল্ডিং ও গ্রাইন্ডিং না করা; 

(খ) প্রয়োজনীয় প্রটেকটিভ ডিভাইসসমেত সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ ইনসুলেটেড রাখা; 

(গ) কর্মস্থলে আগুন নিভানোর উপকরণ, পানি, বালু ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা; 

(ঘ) দৈবক্রমে আগুন লাগলে দ্রুত ফায়ার স্টেশনে খবর দেওয়া; 

(ঙ) কারখানার অভ্যন্তর ও বাহির সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা; 

(চ) মেশিন টুলস ও ইকুইপমেন্ট নির্দিষ্ট স্থানে সাজিয়ে রাখা।

 

অনুসন্ধানমূলক কাজ 

তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি ড্রাফটিং ওয়ার্কশপ পরিদর্শন কর। এর কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ে নিম্নোক্ত ছকে তোমার মতামত দাও 

 

 

Content added By
Promotion